বাজার করে আসার পথে আমার বাইক খারাপ হয়ে গেলো। আমার বড়ি কাছেই। হেটে যেতে মিনিট দশেক লাগবে।আমি আপাতত বাইকটা ফেলে রেখে চলেই যেতে পারতাম। পরে মেকানিক নিয়ে এসে ঠিক করা যেত বাইকটা। কিন্তু সমস্যা হল সাথে কিছু বাজার আছে। একটা বড় মাছ, দুটো মুরগি, একটা বালতি আর পাঁচ লিটার রঙের ডিব্বা। এতগুলা জিনিস কিভাবে নেয়া যায় সে বুঝে উঠতে পারছে না। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আমি এটা নিয়ে ভাবছি, এমন সময় খুব সুন্দর এক মহিলা আমাকে জিজ্ঞেস করল,
-আচ্ছা, জয়গাছি রথতলাটা কোনদিকে?
জয়গাছি রথতলা? আমার বাসার পাশেই। হেটে যেতে বড়জোর দশমিনিট লাগবে। আমিই আপনাকে সাথে নিয়ে যেতাম কিন্তু একটা মাছ, দুটো মুরগি,বালতি আর রঙের কৌটা নিয়ে হাটতে পারছি না।
-এককাজ করুন। রঙের কৌটাটা নিন বালতির ভিতর। মুরগি দুটো নিন দুই বগলে আর মাছটা নিন আরেক হাতে। ভেবে দেখলাম ঠিক, তাই করলাম। চমৎকার কাজ হয়েছে। পথে কথাবার্তায় মেয়ের নাম জানা হল মন্দীরা। সে যাচ্ছে মামা তপন বাবুর বাসায়। পথের এক জায়গায় আমি বললাম,
এই দেওয়ালটার পাশ দিয়ে একটা শর্টকাট -আছে। এখান দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হবে।
মন্দীরা বলল, কিন্তু খুব নির্জন মনে হচ্ছে পথ।
-তাতে কি?
-আপনি একজন যুবক । আমি একজন তরুনী। ধরুন, আপনি যদি নির্জনে আমার সাথে u know what শুরু করতে চান?
-হা হা হা! আমার একহাতে বালতি, যেটার ভিতর রঙের কৌটা, আরেক হাতে মাছ। দুই বগলে দুইটা মুরগি। আমি কিভাবে আপনার সাথে জোর করে কিছু করতে পারি?
-ধরেন, আপনি বালতি থেকে রঙের কৌটাটা বের করে সেটা উল্টিয়ে মাছটা রাখলেন। মছটা যেন না পড়েযায় সেজন্য রঙের কৌটাটা বালতির ওপর রাখলেন। তাহলেই হল।
-ভুল করছেন। দুইটা মুরগি আছে যে, সেগুলার কি করব শুনি?
একটু হেসে মন্দীরা বলল,---- মুরগি দুটো না হয় আমিই ধরে রাখলাম। তা হোলেতো কোন অসুবিধা নেই তোমার !
No comments:
Post a Comment