গভীর রাত, চারদিক নিস্তব্ধ, কোথাও একটা ঝিঁঝি পোকারও সাড়া-শব্দ নেই। ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে আছে গোপাল ও তার স্ত্রী। হঠাৎ শব্দ হলো খুটখুট। গোপাল জেগে উঠল। অন্ধকারে স্ত্রীর গায়ে হাত দিয়ে জাগিয়ে তুলল। ইশারায় দেখিয়ে দিল, ঘরে চোর ঢুকেছে। গোপাল ও তার স্ত্রী চোরটিকে ধরার জন্য যুক্তি-বুদ্ধি করছে, এমন সময় হইহই শব্দ। চোখ ফেলতেই গোপাল দেখল, একদল ডাকাত। বেচারা চোর ভীষণ বিপদে পড়ে গেল। পালানোর কোনো পথ না পেয়ে সে উঠে পড়ল ঘরের চালে। গোপাল ব্যাপারটা লক্ষ করল। তাড়াতাড়ি টাকা-পয়সা, গয়নাগাটি পুঁটলিতে বেঁধে সে সিঁদ দিয়ে বেরিয়ে গেল। যাওয়ার আগে স্ত্রীকে শিখিয়ে দিয়ে গেল একটি মোক্ষম বুদ্ধি।
এদিকে ডাকাতেরা এসে দরজায় হরদম লাথি দিতে শুরু করল। গোপালের স্ত্রী দরজা খোলার আগেই দরজা গেল ভেঙে। ডাকাতের দল হুড়মুড় করে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ল। গোপালের স্ত্রী মাথায় হাত দিয়ে কান্না শুরু করে দিল। গোপালকে না দেখে ডাকাতেরা তার স্ত্রীকে বলল, ‘ওসব কান্না দেখতে আমরা আসিনি, বাঁচতে চাস তো আগে বাক্সের চাবি দে।’
গোপালের স্ত্রী এতক্ষণ এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। বলল, ‘বিশ্বাস করো, কর্তার কাছেই চাবি। সে তোমাদের সাড়া পেয়ে ভয়ে ওই চালের ওপর গিয়ে বসে আছে। তাকে ধরলেই চাবিটা পেয়ে যাবে।’
ডাকাতেরা আর এক মুহূর্ত দেরি করল না। এক লাফে চোরকে ওপর থেকে নামিয়ে এনে শুরু করল উত্তম-মধ্যম। বেচারা উঃ আঃ করার সময় পর্যন্ত পেল না।
এদিকে গোপাল রাজার বাড়ি গিয়ে পাইক, বরকন্দাজ নিয়ে হাজির হলো। তাদের সাড়া পেয়ে ডাকাতেরা চোরকে ফেলে রেখেই চম্পট। চোর বেচারা লাথি-কিল খেয়ে বসে রইল বোকার মতো। পালানোর ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। পাইকেরা তাকে বেঁধে ঠ্যাঙানি দিতে যাবে, অমনি গোপালের স্ত্রী বাঁধা দিয়ে বলল, ‘থাক কর্তাকে আর মেরে লাভ নেই।’
গোপালের স্ত্রীর কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে বলল, ‘কী বললেন, কর্তা? কর্তা তো আপনার পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন।’ গোপালের স্ত্রী বলল, ‘আমার কর্তার কথা বলছি না। বলছি চোর কর্তার কথা। ওর জন্যই তো আজ আমরা ধনে-প্রাণে বেঁচেগেলাম।
এদিকে ডাকাতেরা এসে দরজায় হরদম লাথি দিতে শুরু করল। গোপালের স্ত্রী দরজা খোলার আগেই দরজা গেল ভেঙে। ডাকাতের দল হুড়মুড় করে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ল। গোপালের স্ত্রী মাথায় হাত দিয়ে কান্না শুরু করে দিল। গোপালকে না দেখে ডাকাতেরা তার স্ত্রীকে বলল, ‘ওসব কান্না দেখতে আমরা আসিনি, বাঁচতে চাস তো আগে বাক্সের চাবি দে।’
গোপালের স্ত্রী এতক্ষণ এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। বলল, ‘বিশ্বাস করো, কর্তার কাছেই চাবি। সে তোমাদের সাড়া পেয়ে ভয়ে ওই চালের ওপর গিয়ে বসে আছে। তাকে ধরলেই চাবিটা পেয়ে যাবে।’
ডাকাতেরা আর এক মুহূর্ত দেরি করল না। এক লাফে চোরকে ওপর থেকে নামিয়ে এনে শুরু করল উত্তম-মধ্যম। বেচারা উঃ আঃ করার সময় পর্যন্ত পেল না।
এদিকে গোপাল রাজার বাড়ি গিয়ে পাইক, বরকন্দাজ নিয়ে হাজির হলো। তাদের সাড়া পেয়ে ডাকাতেরা চোরকে ফেলে রেখেই চম্পট। চোর বেচারা লাথি-কিল খেয়ে বসে রইল বোকার মতো। পালানোর ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। পাইকেরা তাকে বেঁধে ঠ্যাঙানি দিতে যাবে, অমনি গোপালের স্ত্রী বাঁধা দিয়ে বলল, ‘থাক কর্তাকে আর মেরে লাভ নেই।’
গোপালের স্ত্রীর কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে বলল, ‘কী বললেন, কর্তা? কর্তা তো আপনার পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন।’ গোপালের স্ত্রী বলল, ‘আমার কর্তার কথা বলছি না। বলছি চোর কর্তার কথা। ওর জন্যই তো আজ আমরা ধনে-প্রাণে বেঁচেগেলাম।
No comments:
Post a Comment